যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন আর ব্যবহার করা যাবে না

 

যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন আর ব্যবহার করা যাবে না

যারা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন তাদের জন্য দুসংবাদ রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যাবে বেশ কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ কাজ করবে না।

গুগল জানিয়েছে তাদের ইউটিউব, গুগল ড্রাইভ, জি-মেইল, গুগল ম্যাপসের মতো প্রয়োজনীয় অ্যাপের সেবা পাওয়া যাবে না অ্যান্ড্রয়েডের পুরোনো ভার্সনে

সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ বা এর থেকে কম ভার্সনের স্মার্টফোনগুলিতে সাপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল।

গুগলের সমস্ত সেবা পেতে হলে ফোনটি কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৩ হতে হবে। ফোন ব্যবহার করা না গেলে ওয়েব ব্রাউজার থেকে লগ ইন করে কাজ চালানো যাবে বলে জানা গেছে।

খুব শিঘ্রই লঞ্চ হতে যাচ্ছে Apple I phone 13

 জানা গেছে Apple iPhone 13 সিরিজের ব‍্যাটারি ক‍্যাপাসিটি, পাওয়া যাবে অসাধারণ পাওয়ার ব্যাকআপ

খুব শিঘ্রই লঞ্চ হতে যাচ্ছে Apple I phone 13

এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাপেলের আপকামিং ‘আইফোন 13’ সিরিজ লঞ্চ হবে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আইফোন 13 সিরিজেও আইফোন 12 সিরিজের মতো নচ দেওয়া হবে। তবে, ফিচারের দিক থেকে আগামী আইফোন বর্তমান আইফোন সিরিজের তুলনায় যথেষ্ট অ্যাডভান্স হবে। এই সিরিজের ফোনে 120 হার্টস রিফ্রেশরেটযুক্ত ProMotion ডিসপ্লে ও আগের চেয়ে শক্তিশালী ক‍্যামেরা থাকতে পারে। এবার চীনের 3সি সার্টিফিকেশন সাইটে আইফোন 13 সিরিজ লিস্টেড হয়েছে। এই লিস্টিং থেকে আগামী আইফোন সিরিজের ব‍্যাটারি ক‍্যাপাসিটি সম্পর্কে জানা গেছে।

লিস্টিং থেকে জানা গেছে, অ্যাপেল শীঘ্রই তাদের আপকামিং আইফোন সিরিজের মাস প্রোডাকশন শুরু করবে। সাইটে এই আগামী সিরিজের ফোনগুলির নাম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে কানাঘুষো চলছে আগামী আইফোন 13 সিরিজে কোম্পানি iPhone 13 Mini, iPhone 13 এবং iPhone 13 Pro নামের তিনটি ফোন লঞ্চ করা হবে।

iPhone 13 সিরিজের ব‍্যাটারি

যেহেতু আপকামিং iPhone 13 সিরিজের ফোনে হাই রিফ্রেশরেটযুক্ত ডিসপ্লে দেওয়া হবে তাই এতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেশি ক‍্যাপাসিটির ব‍্যাটারি থাকবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই আগামী সিরিজের ফোনগুলির স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। আমরা মনে করছি খুব তাড়াতাড়ি ফোনগুলির বিভিন্ন ফিচার লিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাবে।

iPhone 13 সিরিজে দেওয়া হবে Samsung ও LG এর ডিসপ্লে

বেশ কিছু দিন আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল ইতিমধ্যে Samsung ও LG আগামী আইফোন 13 সিরিজের জন্য ডিসপ্লে তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে। জানা গেছে, স‍্যামসাং আইফোন 13 সিরিজের জন্য নতুন LTPO ডিসপ্লে টেকনোলজি এবং 120Hz রিফ্রেশরেটযুক্ত ProMotion ডিসপ্লে সাপ্লাই করবে। অন‍্যদিকে এলজি আপকামিং আইফোন 13 ও আইফোন 13 মিনি ফোনের জন্য OLED ডিসপ্লে সরবরাহ করবে। জানিয়ে রাখি স‍্যামসাং আইফোন 13 প্রো এবং আইফোন 13 প্রো ম‍্যাক্সের ডিসপ্লে সাপ্লাই করবে।

স্মার্টফোন কেনার আগে আপনার এই বিষয় গুলো জানা খুবই জরুরী


 2021 সাল, মানে স্মার্টফোন এখন আর আমাদের জন্য বিলাসিতার কিছু নয়, হ্যাঁ একটা সময় ছিল যখন একটা মানুষের কাছে স্মার্টফোন থাকা বিশাল বড় ব্যাপার ছিল।  কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই প্রত্যেকটা মানুষের গুরুত্বপূন্ন ও প্রয়োজনীয় বস্তু স্মার্টফোন।


বেশীরভাগ স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীরা ফোন কিনতে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়,

কেননা বাজারে এত এত স্মার্টফোনের মধ্যে আমি কোনটা কিনবো? কোনটা আমার জন্য ভালো হবে এটা নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়,

তাই স্মার্টপোন কেনার আগে এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা রাখা দরকার,

যেমন বাজেট,স্থায়িত্বকাল,ফিচার,প্রডাক্ট কোয়ালিটি এবং অন্যান্য আরো কিছু বিষয়গুলো লক্ষ রাখা আবশ্যক।


তো আজকের আর্টিকেল হবে স্মার্টফোন কেনার আগে আমরা আমাদের কয়টি বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে এবং সেটা কি কি? 

চলুন শুরু করি...........

স্মার্টফোন কেনার আগে আমাদের ১০ টি বিষয় জানা দরকার,


১. ডিজাইন 

প্রথমত এটা একান্তই ব্যাক্তিগত পছন্দ, কেননা আপনার কোন ডিজাইন ভালো লাগে সেটা আপনি ডিসাইড করুন, এটা নিয়ে আর বেশী কিছু বলবো না।


২. ডিসপ্লে

একটি ভালোমানের ফোনের সাথে একটি ভালো ডিসপ্লে থাকা খুবই জরুরী,বর্তমান সময়ে বেশীর ভাগ মানুষই ৫'৬ ইন্চি ডিসপ্লে ব্যাবহার করে থাকে, এখন আপনার কতটুকু ডিসপ্লে হলে ভালো হয় এটা আপনি ডিসাইড করবেন।


৩.অপারেটিং সিস্টেম

আপনি যদি স্মার্টফোন কেনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন কিনতে চাচ্ছেন সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই সফটওয়্যার যার সাথে আমরা প্রতিদিনই ইন্টারঅ্যাক্ট করে থাকি। স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মতোই। বর্তমানে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড OS এবং অ্যাপলের IOSO দুটিই জনপ্রিয়।

২০২১ সালে এসে স্মার্টফোন কোনো বিলাসিতার পণ্য নয়। বরং এটি বর্তমানে আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে।


অধিকাংশ ইউজারই স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে বিপদে পড়ে যান। কেননা বর্তমান বাজারে এতো বেশি পরিমাণে স্মার্টফোন রয়েছে যে একজন ইউজার কোন স্মার্টফোনটি নির্বাচন করবে বা কোনটি তার জন্য সঠিক হবে তা নির্ণয় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।


তাই স্মার্টফোন কেনার আগে এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা থাকা উচিত। নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে একজন ইউজারকে অব্যশই বাজেট, ফিচার, স্থায়িত্বকাল, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই সফটওয়্যার যার সাথে আমরা প্রতিদিনই ইন্টারঅ্যাক্ট করে থাকি। স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মতোই। বর্তমানে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ওএস এবং অ্যাপলের আইওএসও দুটিই জনপ্রিয়।


৪. প্রফেসর

কম্পিউটারের মতো স্মার্টফোনেরও প্রধান প্রাণ হচ্ছে প্রসেসর। এটাকে আপনি চিপসেট বলেন বা প্রসেসর বলেন স্মার্টফোনের সব ডেটা এটাই প্রসেস করে থাকে। তাই স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী একটি প্রসেসর,

প্রসেসর যত বেশী শক্তিশালী হবে

 তত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। একটি প্রসেসরের পারফরম্যান্স নির্ভর করে এতে থাকা ক্লক স্পিড, কোর সংখ্যা সহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর।


ইন্টেল, কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, মিডিয়াটেক সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য প্রসেসর তৈরি করে থাকে। বর্তমানে ব্যবহারকারী বিচারে মিডিয়াটেক এগিয়ে রয়েছে। তবে পারফরমেন্স বিচারে কিন্ত এগিয়ে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন।


স্যামসাংয়ের এক্সিনস, হুয়াওয়ের কিরিন, অ্যাপলের প্রসেসর এগুলো শুধু তাদের নিজেদের স্মার্টফোনে ইউজ করতে দেখা যায়। আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনে মাল্টিটাস্কিং বা গেমিং করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ভালো একটি প্রসেসর আপনার দরকার হবে।


বর্তমানে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, ৮৬৫, ৮৫৫, ৮৪৫, ৮৩৫, ৭৩০, ৭১২; স্যামসাং এর এক্সিনস ৯৮২৫, ৯৮২০, ৯৮১০, ৮৮৯৫, ৮৮৯০, মিডিয়াটেক হেলিও পি৯৫, পি৯০, পি৭০, এক্স৩০ ইত্যাদি খুব ভালো মানের প্রসেসর।


ভালো মানের ফোন কেনার সময় অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কোন একটি প্রসেসর অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনে থাকা জরুরী।


৫. জিপিইউ

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে চিপসেট বা প্রসেসরের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। সেটি হলো জিপিইউ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট।


প্রসেসর স্মার্টফোনে ডেটা দ্রুত প্রসেস করার কাজ করে। অন্যদিকে জিপিইউ গেমিং পারফর্মেন্স, ফ্রেম রেট, গ্রাফিক্স সহ আরো অনেকগুলো বিষয় হ্যান্ডেল করে থাকে।


তাই ভালো প্রসেসরের পাশাপাশি ভালো জিপিইউ থাকাটাও কিন্তু প্রয়োজনীয়। বর্তমানে অ্যাড্রিনো ৬৬০, ৬৫০, ৬৪০, ৬৩০; ম্যালি জি-৭৮, জি-৭৭, জি-৭৬ জি-৭২; পাওয়ার ভিআরের লেটেস্ট সিরিজের জিপিইউ গুলো অনেক ভালো মানের হয়ে থাকে।


স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই ভালো জিপিইউ সম্বলিত স্মার্টফোনটি কেনার চেষ্টা করবেন। কারণ পরবর্তীতে আপনি কিন্তু এতে কম্পিউটারের মতো ডেডিকেটেড জিপিইউ লাগানোর সুযোগ পাবেন না।


৬. র‍্যাম

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো র‍্যাম। এটি এমন একটি যন্ত্রাংশ যেটি স্মার্টফোনের যেকোনো প্রসেস এবং অ্যাপস রান করাতে প্রসেসরকে সাহায্য করে। এটি অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে।


স্মার্টফোনে র‍্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত ভালোভাবে চলাতে পারবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেকগুলো অ্যাপ একসাথে রান করাতে পারবেন।


তবে বেশি র‍্যামের স্মার্টফোনগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার কি পরিমাণ র‍্যাম লাগবে এটা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে হবে। বর্তমানে সময়ে স্মার্টফোনে স্মুথ পারফরম্যান্স পেতে হলে আপনার ফোনে কমপক্ষে ৩ জিবি র‍্যাম থাকাটা আবশ্যক।


বর্তমানে লো-ইন্ড স্মার্টফোনগুলোতে ১ জিবি, মিডরেঞ্জর স্মার্টফোনগুলোতে ২ থেকে ৪ জিবি এবং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ৬ থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম দেখতে পাওয়া যায়।


৭. স্টোরেজ

স্মার্টফোনে রম বা স্টোরেজ স্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এখানে মূলত অপারেটিং সিস্টেম ও এর অ্যাপস থাকে। বাকি অংশে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো স্টোর করে রাখতে পারবেন।


তবে ইন্টারনাল স্টোরেজ ৮০% ইউজ হওয়ার পর এতে আর ফাইল না রাখায় ভালো। আপনার স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কত হবে সেটা আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।


তবে আমি আপনাকে ৩২ জিবি স্টোরেজের ফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। আর বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোনেই মাইক্রোএসডি বা মেমরি কার্ড স্লট ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। তাই আপনাকে স্টোরেজ নিয়ে না ভাবলেও চলবে।


৮. ক্যামেরা

বর্তমানে স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো আগের থাকে অনেক উন্নত হয়েছে। এখনকার স্মার্টফোনে অনেক শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা যায়। একসময় স্মার্টফোনের সামনে এবং পিছনে একটা ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যেত। তবে সময়ের সাথে সাথে এই সংখ্যা বেড়েছে।


অনেকে মনে করেন স্মার্টফোনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন বা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে স্মার্টফোনে তোলা ছবি ততো ভালো হবে। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। ক্যামেরা দিয়ে তুলা ছবি কতটা ভালো বা খারাপ হবে তা অনেকাংশে অ্যাপারচার, সেন্সর, লেন্স ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।


কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েও বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় সুন্দর ছবি পাওয়া সম্ভব। ক্যামেরার ক্ষেত্রে অ্যাপারচার যত কম হবে ক্যামেরা তত বেশি আলো ক্যাপচার করতে পারবে। ভালো ছবি তুলার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।


স্মার্টফোন দিয়ে বর্তমানে ফুল এইচডি বা ৪কে রেজুলেশনেও ভিডিও করা যায়। স্মার্টফোন কেনার সময় এদিকেও লক্ষ্য রাখবেন। এমন স্মার্টফোন কিনবেন যেটা দিয়ে কমপক্ষে এইচডি রেজুলেশনে ভিডিও ক্যাপচার করা যায়।


৯. ব্যাটারি

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনি যত দামী স্মার্টফোন কিনেন না কেন এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কম হলে সবকিছুই বৃথা যাবে।


বর্তমানে বাজারে ৪ বা ৫ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কেমন দরকার তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহার করার ধরনের উপর। আপনি যদি হেভি ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে ভালো ব্যাটারি ক্যাপাসিটির স্মার্টফোন অবশ্যই কিনবেন।


আমি আপনাকে কমপক্ষে ৩ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। হেভি ইউজের জন্য আপনি ৪ হাজার মিলিএম্পিয়ার বা তার চেয়ে বেশি মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে পারেন।


স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটির পাশাপাশি ফোনটি কুইক চার্জ সাপোর্ট করে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আপনার ফোন কুইক চার্জ সমর্থিত হলে তাড়াতাড়ি চার্জ হবে, এতে আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।


১০. বাজেট

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাজেটের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে আপনি বাজারে বিভিন্ন বাজেটের স্মার্টফোন পাবেন। একটি স্মার্টফোনের দাম সবসময় নির্ভর করে স্মার্টফোনটিতে থাকা ফিচার এবং কনফিগারেশনের উপর।


আপনার বাজেটের মধ্যে যে স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি ফিচারস রয়েছে আপনি সবসময় সেই স্মার্টফোনটি কেনার চেষ্টা করবেন। এটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট। এক্ষেত্রে আপনি গুগলে বিভিন্ন স্মার্টফোনের মডেল লিখে সার্চ করতে পারেন।


আশা করি আপনি সেখানে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। বর্তমানে শাওমি, হুয়াওয়ে, অপো, বিভো সহ বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড কম দামে অসাধারণ সব স্মার্টফোন অফার করছে।


আর আপনার বাজেট যদি বেশি থাকে তাহলে স্যামসাং বা অ্যাপলের মতো কোম্পানির তৈরি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো কিনতে পারেন। ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো সবসময় ফিচার-রিচ হয়ে থাকে এবং এগুলোতে লেটেস্ট সব টেকনোলজিও আপনি পেয়ে যাবেন।


এই ছিলো স্মার্টফোন কেনার আগে জানা প্রয়োজন এমন কয়েকটি বিষয়। আর্টিকেলে কোন রকম ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

Tech Bangla

তথ্য সূত্রঃ- ইন্টারনেট